আজকের কথা,বেনাপোল(যশোর): লকডাউনের নামে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের জ্বালাও-পোড়াও ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শার্শা উপজেলা বিএনপি।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সভায় শত শত নেতা,কর্মীরা অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে শার্শা উপজেলা বাজার থেকে শুরু করে বেনাপোল বন্দর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয় ।
সমাবেশে লকডাউন কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু, উপজেলা যুবদলের আহবাহক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল পৌর বিএনপির সহ সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার,উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম,বেনাপোল পৌর যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান বাবু,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোহাইমেনুল সাগর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, সহ দপ্তর সম্পাদক সাইদুজ্জামান,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী মাষ্টার,সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, গোগা ইউনিয়ন এর সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন,,উপজেলা মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পারুল বেগম, ,পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান,রিপন,মীর আলম,বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক, বেনাপোল পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন,, বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা লকডাউন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ফ্যাস্টিট হাসিনা ভারতে বসে লকডাউনের নামে নাশকতার ডাক দিয়েছে। আর দেশের ভিতরে থাকা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আড়ালে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এসকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। লকডাউনের নামে আমাদের শান্তি প্রিয় শার্শা উপজেলায় কেউ নাশকতার সৃষ্টি করলে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে। তারা আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। যতবার আওয়ামী লীগ মাথা চাড়া দেবে, ততবার ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। তারা দ্রুত জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি এবং গণভোটের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের দাবিও জানান।
এদিকে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। লকডাউনের ঘোষণা সত্ত্বেও সমর্থনে তিনভর রাস্তায় কেউ নামেনি। বন্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।










