ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

অবশেষে দুদকের ঘুষ বানিজ্য মামলায় গ্রেফতার হলো কাস্টমস কর্মকর্তা

  • newsdesk
  • আপডেট: ১১:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১

আবিদ হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে অবশেষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে মামলার এজাহারে আসামী করে গ্রেফতার করেছে দুনীতি দমন কমিশন দুদক।

মঙ্গরবার দুপুর ১২ টার দিকে আসামী কাস্টমস কর্মকর্তার নিজ বাড়ি যশোর থেকে দুদকের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে শামিমার দপ্তর থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ সে ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুর কে ধরলেও কেবল একটি হাসিবুরকে আটক দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে। এসময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল রাতে দুদকের গাড়িসহ কর্মকর্তাদের আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে জনতার কাছে স্বচ্ছতার আশ্বাসে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ নতুন করে তদন্ত শেষে কাস্টমস কর্মকর্তা শামিমাকে প্রধান আসামী ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমানকর দ্বিতীয় আসামী করে এজাহার দাখিল করে দুদক।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা যশোরের নাজির শংকরপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং বহিরাগত এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমান বেনাপোল গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে।

মামলার এজহারে দুদক কর্মকর্তা যশোর শাখার উপপরিচালক আল আমিন জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার আমদানি,রফতানি পণ্য শুল্কায়নে সিঅ্যান্ডএফ ও দাদালদের সাথে যোগসাজোগে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের সময় সে ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঘুষ বানিজ্যের কারনে আমদানিতে খরচ বাড়ে। কোন অনিয়ম না থাকলেও কাস্টমস সদস্যরা ফাইল আটকে টাকা আদায় ও হয়রানি করে। এর আগে ঘুষের ২৫ লাখ টাকাসহ বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনকে গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকা বিমান বন্দর থেকে আটক করেছিল।

সাধারন ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, দির্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বেনাপোল কাস্টমসে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ থাকলেও এই প্রথম দুদকের অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে দুদকের দূনীতির কারনে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় জনতা ও সাংবাদিকদের জেরার মুখে অবশেষে দুদক সদস্যরা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত

দেশে ফেরা নিয়ে শর্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার

অবশেষে দুদকের ঘুষ বানিজ্য মামলায় গ্রেফতার হলো কাস্টমস কর্মকর্তা

আপডেট: ১১:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

আবিদ হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে অবশেষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে মামলার এজাহারে আসামী করে গ্রেফতার করেছে দুনীতি দমন কমিশন দুদক।

মঙ্গরবার দুপুর ১২ টার দিকে আসামী কাস্টমস কর্মকর্তার নিজ বাড়ি যশোর থেকে দুদকের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে শামিমার দপ্তর থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ সে ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুর কে ধরলেও কেবল একটি হাসিবুরকে আটক দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে। এসময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল রাতে দুদকের গাড়িসহ কর্মকর্তাদের আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে জনতার কাছে স্বচ্ছতার আশ্বাসে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ নতুন করে তদন্ত শেষে কাস্টমস কর্মকর্তা শামিমাকে প্রধান আসামী ও তার সহযোগী এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমানকর দ্বিতীয় আসামী করে এজাহার দাখিল করে দুদক।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা যশোরের নাজির শংকরপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং বহিরাগত এনজিও সদস্য হাসিবুর রহমান বেনাপোল গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে।

মামলার এজহারে দুদক কর্মকর্তা যশোর শাখার উপপরিচালক আল আমিন জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার আমদানি,রফতানি পণ্য শুল্কায়নে সিঅ্যান্ডএফ ও দাদালদের সাথে যোগসাজোগে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের সময় সে ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঘুষ বানিজ্যের কারনে আমদানিতে খরচ বাড়ে। কোন অনিয়ম না থাকলেও কাস্টমস সদস্যরা ফাইল আটকে টাকা আদায় ও হয়রানি করে। এর আগে ঘুষের ২৫ লাখ টাকাসহ বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনকে গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকা বিমান বন্দর থেকে আটক করেছিল।

সাধারন ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, দির্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বেনাপোল কাস্টমসে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ থাকলেও এই প্রথম দুদকের অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে দুদকের দূনীতির কারনে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় জনতা ও সাংবাদিকদের জেরার মুখে অবশেষে দুদক সদস্যরা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।