• সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতে পালানোর সময় ৪ মাসে বেনাপোলে গণহত্যা মামলার ৯ আসামী গ্রেফতার। গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত বেড়ে প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০ নিরাপত্তা এলার্ম ব্যবহারের সুবিধা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাকে বেনাপোলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার। ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি গতমাসে দেশে বিজিবির হাতে বাং এক মাসে ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের চোরাচালান পন্য আটক যশোরে জামায়াত নেতা হত্যার আসামীসহ ৫ অপরাধী গ্রেফতার ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার। দ্রব মুল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে বেনাপোলে ভোক্তা অধিকারের সাথে বানিজ্য সংগঠনের বৈঠক

প্রাণহানির জন্য অগ্নিনিরাপত্তা পদ্ধতির দুর্বলতাই দায়ী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ২ জন

এনবি নিউজ : প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এমভি অভিযান -১০ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়।

স্মরণকালের ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।  লঞ্চে কেন আগুন লাগল এ নিয়ে নানা কৌতুহল রয়েছে অনেকের মনে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক পরিচালক মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে রাসায়নিক পদার্থ ছিল, যার বড় অংশ ছিল কেরোসিন। এ ছাড়া  দাহ্যপদার্থ লুব্রিকেট ও হাইড্রোলিক অয়েল ছিল। পাশের স্টোর রুমেও ছিল বিপুল পরিমাণ তেল। এসব পদার্থ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে থাকলে যেমন নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হয়, তা ওই লঞ্চে ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক পরিচালক বলেন, ইঞ্জিন রুমের তেলের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরলে ড্রাম গরম হয়ে ভেতর থেকে তেল বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। মুখ বন্ধ থাকায় বেরিয়ে আসতে না পারায় কয়েশ টন শক্তি উৎপাদন করে ড্রামগুলো বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরিত হলে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়ে। এর পর পাশের ড্রামগুলোও বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেরোসিন তেলে আগুন লাগলে প্রচুর কালো ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিন রুম পানির মধ্যে হওয়ায় ধোঁয়া পাইপসহ বিভিন্ন ফাঁকা দিয়ে ওপরে চলে যায়। ধোঁয়ায় জন্য দম বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়।

এই অগ্নিনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় লোকজন নিজেদের বাঁচানোর সময় অনেক কম পেয়েছে। এছাড়া গভীর রাতে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ফলে প্রাণহানি বেশি হয়েছে।

প্রাণহানির জন্য অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক এই পরিচালক। তিনি বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা পদ্ধতি, আগুন শনাক্তের যন্ত্র ও সতর্কীকরণ পদ্ধতি দুর্বলতা ছিল। ফলে লোকজন যেখানে ছিল, সেখানেই দগ্ধ হয়ে ও ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ছাড়া ইঞ্জিন রুমে তেল রাখতে হলে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সেটা আলাদা করতে হয়। সেটা না করায় দুর্ঘটনার পর মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি বেড়েছে।

এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:২১ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১২:১২ অপরাহ্ণ
    আছরবিকাল ৩:২৩ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৭:০৪ অপরাহ্ণ