তিনি জানান, ছাত্রনেতৃত্ব ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র দিতে চাইলেও সরকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারিভাবে দিতে চেয়েছিল। সেই কারণে ছাত্রনেতারা তাদের উদ্যোগ থেকে সরে আসে। যদিও সরকার পরবর্তী সময়ে একাধিকবার সময় দিয়েও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার যদি কোনো উদ্যোগ না নেয়, তবে আমরা বসে থাকবো না। আমাদের বক্তব্য, ইশতেহার অবশ্যই প্রকাশ করবো। অন্য পক্ষগুলোকেও আহ্বান জানাবো, আপনারাও আপনাদের ইশতেহার তৈরি করুন। সকল পক্ষ মিলে দলিল তৈরি করলে সরকার তা গ্রহণে বাধ্য থাকবে।’
জুলাই সনদ’ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি হবে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা এবং সংবিধান সংশোধনে রাজনৈতিক ঐকমতের দলিল।’ ভবিষ্যৎ সরকারগুলো এই সনদ অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম চালাতে বাধ্য থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টের মধ্যে ঘোষণাপত্র ও সনদ, দুইটাই দেওয়া সম্ভব। কোনো পক্ষ যদি দলীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, তবে সরকারকে ভয় না পেয়ে অন্যান্য পক্ষ ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।’