ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  • newsdesk
  • আপডেট: ১০:৪৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

আজকের কথা  (যশোর): যশোর পৌর যুবদলের এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি তারেক হোসেন চুন্নু ও নগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের চেষ্টায় এক নারীকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তিন লাখ টাকা না পেয়ে তারা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এ সময় ওই নারী শ্লীলতাহানির শিকার হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, সংসার চালাতে তিনি চারটি ইজিবাইক ভাড়া দেন। গত বছরের আগস্ট থেকে যুবদল নেতা চুন্নু তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে চুন্নু ও তার সহযোগী বিশাল, আকাশ, লাল্টু, সোহেল ওরফে চাকু সোহেল, শফিক, হাসান, সনু, মন্ডল, হাবিব, তুষার, আল আমিনসহ আরও ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়, সানু ও লাল্টু তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। চুন্নু ঘর তল্লাশি করে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তার ছেলে রাকিবকে মারধর করে আহত করে। আরেক সন্তান মাত্র ১১ মাস বয়সী শিশুর গলায় চাকু ধরে অবশিষ্ট টাকা চায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অনেকে পালিয়ে যায়।

তবে চুন্নুসহ কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে অন্যরা ফিরে এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর চুন্নুর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ফের বাড়িতে আসে, বস্তি থেকে ৩০ নারী এনে ঘিরে ফেলে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। তিনি ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি, পরে অভিযোগ নিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ফোনটি ফেরত পান তিনি। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

তবে অভিযুক্তদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই নারী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত-ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশনানুযায়ী, পদ ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যত বড় নেতা হোক না কেন।’

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।

চট্রগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেফতার

যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ১০:৪৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

আজকের কথা  (যশোর): যশোর পৌর যুবদলের এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি তারেক হোসেন চুন্নু ও নগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের চেষ্টায় এক নারীকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তিন লাখ টাকা না পেয়ে তারা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এ সময় ওই নারী শ্লীলতাহানির শিকার হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, সংসার চালাতে তিনি চারটি ইজিবাইক ভাড়া দেন। গত বছরের আগস্ট থেকে যুবদল নেতা চুন্নু তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে চুন্নু ও তার সহযোগী বিশাল, আকাশ, লাল্টু, সোহেল ওরফে চাকু সোহেল, শফিক, হাসান, সনু, মন্ডল, হাবিব, তুষার, আল আমিনসহ আরও ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়, সানু ও লাল্টু তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। চুন্নু ঘর তল্লাশি করে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তার ছেলে রাকিবকে মারধর করে আহত করে। আরেক সন্তান মাত্র ১১ মাস বয়সী শিশুর গলায় চাকু ধরে অবশিষ্ট টাকা চায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অনেকে পালিয়ে যায়।

তবে চুন্নুসহ কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে অন্যরা ফিরে এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর চুন্নুর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ফের বাড়িতে আসে, বস্তি থেকে ৩০ নারী এনে ঘিরে ফেলে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। তিনি ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি, পরে অভিযোগ নিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ফোনটি ফেরত পান তিনি। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

তবে অভিযুক্তদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই নারী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত-ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশনানুযায়ী, পদ ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যত বড় নেতা হোক না কেন।’

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।