আজকের কথা(বেনাপোল): : দেশে চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে কাঁচা মরিচের। কেবল বেনাপোল বন্দর দিয়েই গত এক মাসে ১ হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি হয়েছে। এদিকে মরিচের আমদানি বাড়লেও বাজার তদারকির অভাবে কাঙ্খিত দাম না কমাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন কেনার উপর নির্ভর করেই তারা দাম নির্ধারন করছেন।
বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, দেশে বর্ষা মৌসুমের কারনে মরিচের উৎপাদন কমে আসায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। গত মাসের ১২ জুলাই থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি শুরু হয়। গতকাল ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমদানি পরিমান ১ হাজার ৩৫৬ মেট্রিন টন। গত মাসেও প্রতিকেজি কাচা মরিচ খোলা বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানি কারকের কাগজ পত্রের তথ্য বলছে, প্রতি টন মরিচ ভারত থেকে আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দর পৌছাতে দাম পড়ে সর্বচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তবে বাজারে বিক্রিতে সমন্বয় নেই। নানান অযুহাত দেখিয়ে বাড়ছে দাম। তবে আমদানিকারকেরা বলেছেন ভারত থেকে তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। পরে বন্দর থেকে কম লাভে বিক্রি করলেও হাত বদলে খুরচা বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
সাধারন ক্রেতা মফিজ জানান, দ্রব মুল্যের চড়া বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধিতে কিনতে কষ্ট হচ্ছে। বাজার তদারকি না থাকায় এ অবস্থা
বেনাপোল বাজারের কাচা মরিচ বিক্রেতা সবুর বানিজ্য ভান্ডারে তথ্য মতে আমদানিকৃত মরিচ বাজারে সববরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।
মরিচ আমদানিকারক যশোরের উষা ট্রেডিং জানান, মরিচ বেশিরভাগ মহারাষ্ট্র থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। খরচ বাদে তারা কম লাভে বিক্রয় করছেন। তবে হাতবদলে খুরচা বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি বাড়ছে। বন্দরে মরিচের ট্রাক প্রবেশের পর মান নির্নয় করে ছাড় পত্র দেওয়া হয়।














