এনবি নিউজ : বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঢাকার অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ মোটেও ‘চিন্তিত’ না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বলেছেন, বাংলাদেশের ভোটাররাও এ নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করছেন না। গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল তা বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) একটি বিবৃতি দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরাও তাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের শক্তি অন্যের ওপর প্রয়োগ করতে পারে কিন্তু এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না। কারণ আমরা জানি, কিভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নন। কারণ, তাদের বেশিরভাগই এই সমৃদ্ধ দেশেই (বাংলাদেশে) থাকতে চান।
মোমেন বলেন, আমাদের ভোটাররাও এনিয়ে চিন্তিত নন, কারণ তারা সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ভাবছেন না।
চলতি বছরের ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে এই ভিসানীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সে সময় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার ও বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
এরপর শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দে দেশটি। বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পররাষ্ট্র বিভাগ।
বিবৃতি বলা হয়, এসব ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যও রয়েছে।
তবে কারা নীতির আওতায় পড়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।