আজকের কথা ডেক্স,বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের জেএন.ওয়ান নতুন উপধরণ সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে পূর্বের থার্মাল স্ক্যানিংসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় কার্যক্রম ব্যহতে সংক্রমনের ঝুকি বাড়ছে। তবে স্বাস্থবিভাগ বলছে থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জম যোগান পাওয়ার জন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সংশিষ্ট সুত্রে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় এক জন বাংলাদেশি সংক্রমিত হয়। পরে ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ৪ বছরে এপর্যন্ত করোনার আগ্রাসনে জীবন হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৪৮১ জন বাংলাদেশি। আর ভারতে কোভিড মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যানে ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এত মৃত্যু আর অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে আস্তে আস্তে মানুষের জীবন যাপন যখন স্বাভাবিকের পথে ঠিক তখন করোনার জেএন ডট ওয়ান নতুর উপধরণ ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বকে। ইতিমধ্যে ভারতসহ বিশ্বের ৪১ দেশে নতুন এ উপধরণ ছড়িয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ আগাম সতর্কতা নিয়েছে। এতে দেশের সব বন্দরে আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে পূর্বের থার্মাল স্ক্যানিংসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় কার্যক্রম ব্যহতে সংক্রমনের এ ঝুকি বাড়ছে। কেবল হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে নাম মাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে যাত্রীদের।
বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত -বাংলাদেশে মধ্যে দেশ,বিদেশি ৭ হাজার পাচপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ও ৬০০ পন্যবাহী ট্রাক দেড় সহস্রধীক ট্রাক চালকেরা আসা যাওয়া করে। এদের মাধ্যমে সংক্রমন ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
ভারতগামী কয়েকজন পাসপোঁর্টধারী যাত্রীরা জানান, বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের আগ্রহ কম দেখা গেছে। তারা নিজেরা সচেতন ও যাত্রীদের সচেতন করলে সুরক্ষা জোরদার হবে।
ভারতগামী আর এক যাত্রী আসলাম জানান, ঘরে বসে থাকলেতো আর জীবন চলবেনা। সরকারের নির্দেশনা মেনে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পথ এগোতে হবে। আর এ সতর্কতা কেউ না মানলে আবারো পিছনের পরিস্থিতির সন্মুখিন হতে পারে।
পাসপোর্টযাত্রী কবির হোসেন জানান,চিকিৎসার জন্য পরিবারের সাথে ভারতে যাচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমস স্বাস্থ্য বিভাগে যারা দায়িত্বে আছেন তারা সচেতনতার বিষয়ে কিছু বলেনি। তবে এখন যেহেতু শুনলাম সচেতন থাকার চেষ্টা করবো।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার
মরিয়ম খন্দকার জানান, বকরোনার জেএনডট.ওয়ান নতুন উপধরন সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন । যাত্রীদের সচেতন ও হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে সন্দেহ ভাজন যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। তবে থার্মাল স্ক্যানিং সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জম নষ্ট থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।