আজকের কথা ডেক্স(বেনাপোল) বছরের পর বছর প্রণোদনা পেয়ে আসছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। আর কতকাল এই সুবিধা থাকা দরকার বলে আপনার মনে হয়? ২৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হতো। সেটি কমতে কমতে আজ এই পর্যায়ে এসেছে। ধাপে ধাপে কমালে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। আমরা সেটাই চাই। কিন্তু রাতারাতি প্রণোদনা বাদ দিলে আমরা সমস্যায় পড়ব। রপ্তানিও কমে যাবে। এমনিতেই আমরা বাড়তি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছি না। ব্যাংকঋণের সুদের হারও বাড়তি। আমদানি করতে গেলে ডলারের দাম দিতে হয় ১২৫ টাকা, অথচ পণ্য রপ্তানি করে অর্জিত ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১০ টাকা। সব মিলিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে প্রণোদনা বন্ধ করলে ভালো ফল বয়ে আনবে না। তা ছাড়া ডলার–সংকটের কারণে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ আছে। ফলে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। অনেক উন্নত দেশও রপ্তানি খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে। ভারত রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশও তুলা চাষে ভর্তুকি দেয়।উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে সরকার প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের চাওয়া কী? প্রনদনা পেতে আমাদের ১ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। আবার ১০ শতাংশ কর কাটা হয়। যতটুকু প্রণোদনা ছিল, সেটিও রাতারাতি উঠিয়ে নিলে দেশীয় বস্ত্র খাত টিকবে না। শুধু তা–ই নয়, আমদানি সক্ষমতা নেই, এমন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাও বন্ধ হবে। ফলে আমাদের দাবি হচ্ছে, এলডিসি থেকে উত্তরণ পর্যন্ত প্রণোদনা ধাপে ধাপে কমানো হোক। অন্যদিকে ব্যবসার খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আমাদের ব্যাংকঋণের সুদের হার বেশি। চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় লুক্কায়িত অনেক খরচ রয়েছে, যা আমাদের ব্যবসায়ের ব্যয় বাড়াচ্ছে। এসব কমানো গেলে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ত