আজকের কথা ডেস্ক(বেনাপোল)যশোর: ভাল
কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচারের শিকার ২৫ শিশুকে বুধবার বিকালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া যৌথ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল সীমান্তে হস্তান্তর করেন। পাচারকারীদের আস্তনা থেকে মুক্ত হতে পেরে খুশি শিশুরা। বেনাপোল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে ফেরত আসা শিশুদেরকে আইনী সহয়তা দিতে গ্রহন করেছেন বাংলাদেশের ৩টি মানবাধিকার সংস্থ্যা। পাচার প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরীর মত প্রকাশ করেন এসব মানবাধিকার কর্মীরা।
জানা যায়, প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থ্যাগুলোর নানান সচেতন মুলক পদক্ষেপের পরেও কোন ভাবে থামছেনা মানব পাচার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সীমান্ত পথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীরা প্রায়ই নারী,শিশুদের নিচ্ছে ভারতে। তিন বছর আগে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে পাচারের শিকার এমন ২৫ শিশু উদ্ধারের পর ফেরত এসেছে স্বদেশ। ভাল কাজ না দিয়ে বিভিন্ন ঝুকি মুলক কাজে তাদের ব্যবহার করেছিল পাচারকারীরা। পুলিশ পাচারকারীদের আস্তানা থেকে কাউকে উদ্ধার আবার কেউ পালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় মানবাধিকার সদস্যরা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে এসব শিশুরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা শিশুদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে এনজিও প্রতিনিধিরা। এদের বয়স ৯ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
পাচারের শিকার শিশুরা জানান, কাউকে অপহরন কাউকে কাজের কথা বলে ভারতে পাচার করেছিলো এতদিন পর দেশে এসে ভালো লাগছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে ফেরত আসা ২৫ শিশুকে মানবাধিকার কর্মীরা গ্রহন করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থ্যা রাইট যশোরের তথ্য অনুসন্ধ্যান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, ফেরত আসা শিশুদের আইনী সহয়তা করা হবে। ফেরত আসা শিশুদের মধ্যে জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৭ জন, রাইটস যশোর ১১ জন ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি ৭জন কে হেফাজতে নিয়েছে। শিশুদের বাড়ি যশোর,খুলনা,নড়াইল, মানিকগঞ্জ ও গাজিপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
আমেরিকান সেন্টার ফর ইন্টার ন্যাশনাল লেবার সালিডারিটি সেন্টারের মানবাধিকার কর্মকর্তা নুরজাহাহান রিনা জানান,পাচার প্রতিরোধ করতে দেশে কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি ও সবাইকে সচেতন হতে হবে।