• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নিরাপত্তা এলার্ম ব্যবহারের সুবিধা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাকে বেনাপোলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার। ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি গতমাসে দেশে বিজিবির হাতে বাং এক মাসে ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের চোরাচালান পন্য আটক যশোরে জামায়াত নেতা হত্যার আসামীসহ ৫ অপরাধী গ্রেফতার ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার। দ্রব মুল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে বেনাপোলে ভোক্তা অধিকারের সাথে বানিজ্য সংগঠনের বৈঠক বেনাপোলে “হাফওয়ে শেল্টার হোম” উদ্বোধন ডিজিটাল বাণিজ্য নীতিমালায় এলসি ছাড়াই আমদানি-রপ্তানির সুযোগ

যদি প্রার্থিতা উন্মুক্ত না করতাম তবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতো: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সংবাদটির পাঠক ৮ জন

 

আজকের কথা ডেক্স(বেনাপোল)ঢাকা: ০৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নৌকা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখার কারণ নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। প্রার্থিতা উন্মুক্ত না থাকলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করা হতো বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
শনিবার(১০ ফেব্রুযারী) গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় পরিষদ, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার নেতা, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, সিটি ও পৌর মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বর্ধিত সভাকে জাতীয় নির্বাচনের পরে মিলনমেলা বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আগামী উপজেলা নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, কী দেখে তারা বলছে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় নাই। এটা তাদের বলতে হবে। সেটা বলছে না। কিন্তু তারা বলে যাচ্ছে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হয় নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দেশীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে এ ধরনের কথা বলা হয়। যে দেশই বলুক, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে, কোথায় সমস্যা, তাদের বলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেটা এখনো তাদের বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনটা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ভোটার যেন না আসে, নির্বাচনটা যাতে অবাধ না হয়, নির্বাচনই যেন হতে না পারে, সেই চেষ্টা ছিল; যাতে নির্বাচন হওয়ার পরে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় যে এই নির্বাচন অবাধ ‍ও সুষ্ঠু হয়নি। কাজেই নিষেধাজ্ঞা দাও, ওইটা দাও। আমাদের যখন বলেছিল নিষেধাজ্ঞা দেবে, তখন আমিও বলেছিলাম, দরকার হলে আমরাও নিষেধাজ্ঞা দেব, আমরাও দিতে পারি। আমি নিষেধাজ্ঞার রীতিনীতি জানি বলেই বলেছিলাম।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এত কথার মধ্যে আমাদের দেশটা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ, প্রতিপক্ষ থাকুক, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হোক, ভোটার আসবে, নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে, সেই অধিকারটুকু জনগণ পাক। সেইভাবে নির্বাচন করেছি বলেই আজকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। অনেকেই বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। এই কথাটা আমাদের নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন স্বতন্ত্র ও দলীয়ভাবে করতে গিয়ে অনেকের মন–কষাকষি, নানা রকম কিছু হয়ে গেছে। যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে; এখন ভুলে যেতে হবে। সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সমাধানের জন্য আমরা আছি, কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়; সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দোষারোপ করার অর্থ হয় না।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন যদি উন্মুক্ত না হতো, তাহলে শুধু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করা হতো। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার অর্জন নস্যাৎ হয়ে যেত।
জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে জেনেই বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে তারা জুগিয়েছিল কিছু প্রভু। তাদের নির্দেশমতো বিএনপি আন্দোলন করে। এখনো কিছু কিছু লম্ফঝম্প করছে, করতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের সংগঠন, এটা তাদের মনে রাখতে হবে। এটা ভেসে আসেনি কিংবা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল পকেট থেকে এ সংগঠন বের হয়নি। এ সংগঠন মাটি-মানুষের ভেতর থেকে বেড়ে উঠেছে। মানুষই এ সংগঠনের বড় শক্তি।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পারেননি, সেটাও যাচাই-বাছাই হয়ে যাবে। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা, সেটাই দেখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রকম সংঘাত চাই না। যিনি এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দ্রব্যমূল্য কমাতে সবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবহনের ক্ষেত্রে বা পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও অবৈধ মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা এখানে আছেন বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এখানে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’ কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পান, সেটার দিকে দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, ‘যে অর্থ আমরা ব্যয় করি, তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। কাজেই এখন থেকে যে যত বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে, তাকে তত বেশি দাম দিতে হবে। আমরা সেইভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর যারা একেবারে পারবে না, তাদের জন্য ছাড় আছে। কিন্তু অতিরিক্ত বিদ্যুৎ যারা ব্যয় করবে, তাদের অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে বিএনপি চুপিসারে আগুন দিত গাড়িতে, রেলে—সব জায়গায়। এবার তারা প্রকাশ্যে দিয়েছে, আবার ছবি তুলেছে। তাদের গুরু লন্ডন থেকে বলে দিয়েছে যে ছবি পাঠাতে হবে। ফলে তারা যে আগুন দিচ্ছে, সেই ছবি আর সাক্ষ্যপ্রমাণটা পাওয়া যাচ্ছে। যে যে এলাকায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলো জোগাড় করে…এই মামলাগুলো যেন ঠিকমতো চলে এবং শাস্তিটা যেন পায়। তাদের নেতাই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কাকে দোষ দেবে? নেতাকে খুশি করতে ছবি তুলেছে, পাঠিয়েছে। এখন ডিজিটাল সিস্টেমে যেভাবেই পাঠাক, সংগ্রহ করা কোনো কঠিন ব্যাপার না। সেভাবে প্রমাণগুলো এসেছে।
২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির নির্যাতনের মামলা এখনো রয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই মামলাগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, সাক্ষী যেন হয় এবং এই দুষ্কৃতকারীরা যেন যথাযথ শাস্তি পায়। ভবিষ্যতে যেন আর আগুন দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার সাহস না পায়, সে ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে।’
জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতির অর্থ কোনো ভালো কাজে লাগে না; বরং তাদের সন্তানেরাই বিপদে পড়বে। এই বদনাম যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কেউ জয়ী হয়েছেন, কেউ জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু কিছু ভোট তো পেয়েছেন। সেটি মাথায় রেখে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস যেন নষ্ট না হয়, সেটি আপনাদের চলনে–বলনে প্রমাণ করতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, সেটিই চাই।

 


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫৮ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১৮ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩৯ অপরাহ্ণ