আজকের কথা ডেস্ক বেনাপোল(যশোর) : পচনশীল পণ্য আমদানি বানিজ্যে অনিয়ম ও হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি,রফতানি বানিজ্য সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১ টায় কর্মবিরতী ডেকে আমদানি বানিজ্য বন্ধ করে দেয় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বানিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় সহস্রধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকলকারখানার কাচামাল ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব জাতীয় পণ্য রয়েছে। বন্দর ও কাস্টমসের অনিয়মের কারনে দ্রুত পণ্যসরবরাহ বিঘ্ন ঘটছে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, রমজানে পচনশীল পণ্য দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে। ভারত সরকার স্লট বুকিংয়ের নামে ট্রাক প্রতি ১০ হাজার রুপিও নিচ্ছে। তবে কোন বৈধ সুবিধা ব্যবসায়ীরা পারছেনা। এতে তারা চাহিদা মত পণ্য আমদানি ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, সরকার ২৪ ঘন্টা বন্দর সচলের কথা বললেও বেনাপোল কাস্টমস সন্ধ্যা ৬ টার পর পচনশীল পণ্য খালাস করেনা। এতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলেন। বাধ্য হয়ে এ অবস্থা থেকে বের হতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান আমদানি,রফতানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারত অংশে সমস্যার কারনে কাচামাল আমদানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন । এতে তারা কর্মবিরতী ডাক দিলে বানিজ্য বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে বানিজ্য সচলের চেষ্টা চলছে।