বেনাপোল(যশোর): যশোরের বেনাপোলে ছাত্রদল নেতা,কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে বর্তমান নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২০ নেতা,কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে । ঘটনার পর থেকে আসামীরা গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে।
শনিবার(০২ নভেম্বর) রাতে বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ছাত্রদল কর্মী হৃদয় বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্টথানায় এই মামলা দায়ের করেন।
আহতরা হলেন, ছাত্রদলকর্মী বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের নিরব, গাতিপাড়ার ইমন,আকাশ, হৃদয়,কাগজপুকুরের শাকিব ও বড়আচড়া গ্রামের সৈকত। আহতদের মধ্যে নিরবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর ২৫০ শর্য্যা হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে।
অভিযোগকারী হৃদয় জানায়, সে ও তার বন্ধুরা দলীয় প্রচার -প্রচারনার কাজে বেনাপোলের নিত্য হাটে যায়। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামী ছাত্রলীগ নেতা,কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এসময় তাদের সাথে থাকা অর্থ ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে স্থানীয়রা আহত ছাত্রদল কর্মীদের রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তী করে।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায় আসামীরা হলেন, সাবেক শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়র গ্রুপের সেক্রেটারি আকুল হোসেন,এমপি গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন রাসেল, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহদ, ভবার বেড় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা,সাধারন সম্পাদক মারুফ হোসেন দিপু, ছাত্রলীগ নেতা ভবারবেড় গ্রামের সুমন হোসেন, রিমন হোসেন ও রুবেল। রাজিন,তৌফিক আহম্মেদ সুজন,মেহেদি হাসান ওরেন্স, শেখ শান্ত,সাজ্জাত হোসেন,রাব্বি,শাকিল শেখ, বড়আঁচড়া গ্রামের সজন মোল্লা, কাগজপুকুর ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব, নামাজ গ্রামের রাজু, গাজিপুরের আরফান হোসেন।
এদিকে আসামীরা কয়েকজন জানান, তারা অনেকেই মারপিটের সাথে জড়িত না থাকলেও তার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ওসি রাসেল মিয়া জানান, ছাত্রদলকর্মীদের উপর হামলায় অভিযুক্তদের নামে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।