ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাজনৈতিক অস্তিরতা। বেনাপোল বন্দরে বানিজ্য ঘাটতি ৭ লাখ মেট্রিক টন।

  • newsdesk
  • আপডেট: ০৪:১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

আবিদ হাসান, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: বৈশিক মন্দা আর গত ০৫ আগষ্টের পর আমদানি,রফতানি বানিজ্যে একের পর এক ভারত-বাংলাদেশ পাল্টা,পাল্টি নিষেধাজ্ঞা দেশের সব চাইতে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরে বড় ধরনের বানিজ্য ঘাটতি ও সংকট তৈরী হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চাইতে বানিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমদানি কমেছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন এবং রফতানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমদানি, রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বানিজ্যের পরিমান কমেছে। বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, বার বার নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিধি,নিষেধের অচলাবস্থা নিরাসনের আহবান জানিয়েছেন তারা।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, বর্তমানে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ০৮ এপ্রিল থেকে ভারতের আকাশ পথ ব্যবহার করে বাইরের দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ১৭ মে তাদের আর
একটি নিষেধাজ্ঞায় গার্মেন্টস, তৈরী পোশাক,তুলা সুতির বর্জ, প্লাস্টিক কাটের তৈরী আসবাব পত্র ও ফল জাতীয় পণ্য রফতানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত ২৬ জুনে পাট ও পাট তৈরী পণ্য স্থলপথে রফতানি বন্ধ করে ভারত। অপরদিকে বাংলাদেশ টেক্সাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনে দাবিতে দেশিয় শিল্প রক্ষার কারন দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকার স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দরের পরিসংখন বলছে, ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানির পরিমান ছিল ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। অন্যদিকে কাস্টমসের পরিসংখন বলছে, গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ মোট্রিক টন পণ্য। এতে ২৩-২৪ অর্থ বছরের চাইতে ২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি বানিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন। অপরদিকে ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারত রফতানির পরিমান ছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। অন্যদিকে গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতে রপতানি হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ মোট্রিক টন পণ্য। এতে ২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২৪-২৫ অর্থবছরে এসে রফতানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, চলমান পরিস্থিতি বানিজ্যে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সংকটের মুখে ফেলেছে স্থলপথে আমদানি,রফতানি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় বানিজ্যে ধস নেমেছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে তুলতে সরকারকে ভুমিকা রাখতে হবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, অপ্রয়োজনীয় অনেক পন্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। এছাড়া ভারত সরকারও বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বন্ধ করেছে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৮৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। রফতানির পরিমান ছিল ৭৬ ট্রাক জানান এই কর্মকর্তা।

রাজনৈতিক অস্তিরতা। বেনাপোল বন্দরে বানিজ্য ঘাটতি ৭ লাখ মেট্রিক টন।

রাজনৈতিক অস্তিরতা। বেনাপোল বন্দরে বানিজ্য ঘাটতি ৭ লাখ মেট্রিক টন।

আপডেট: ০৪:১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

আবিদ হাসান, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: বৈশিক মন্দা আর গত ০৫ আগষ্টের পর আমদানি,রফতানি বানিজ্যে একের পর এক ভারত-বাংলাদেশ পাল্টা,পাল্টি নিষেধাজ্ঞা দেশের সব চাইতে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরে বড় ধরনের বানিজ্য ঘাটতি ও সংকট তৈরী হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চাইতে বানিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমদানি কমেছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন এবং রফতানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমদানি, রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বানিজ্যের পরিমান কমেছে। বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, বার বার নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিধি,নিষেধের অচলাবস্থা নিরাসনের আহবান জানিয়েছেন তারা।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, বর্তমানে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ০৮ এপ্রিল থেকে ভারতের আকাশ পথ ব্যবহার করে বাইরের দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ১৭ মে তাদের আর
একটি নিষেধাজ্ঞায় গার্মেন্টস, তৈরী পোশাক,তুলা সুতির বর্জ, প্লাস্টিক কাটের তৈরী আসবাব পত্র ও ফল জাতীয় পণ্য রফতানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত ২৬ জুনে পাট ও পাট তৈরী পণ্য স্থলপথে রফতানি বন্ধ করে ভারত। অপরদিকে বাংলাদেশ টেক্সাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনে দাবিতে দেশিয় শিল্প রক্ষার কারন দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকার স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দরের পরিসংখন বলছে, ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানির পরিমান ছিল ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। অন্যদিকে কাস্টমসের পরিসংখন বলছে, গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ মোট্রিক টন পণ্য। এতে ২৩-২৪ অর্থ বছরের চাইতে ২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি বানিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন। অপরদিকে ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারত রফতানির পরিমান ছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। অন্যদিকে গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতে রপতানি হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ মোট্রিক টন পণ্য। এতে ২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২৪-২৫ অর্থবছরে এসে রফতানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, চলমান পরিস্থিতি বানিজ্যে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সংকটের মুখে ফেলেছে স্থলপথে আমদানি,রফতানি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় বানিজ্যে ধস নেমেছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে তুলতে সরকারকে ভুমিকা রাখতে হবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, অপ্রয়োজনীয় অনেক পন্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। এছাড়া ভারত সরকারও বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বন্ধ করেছে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৮৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। রফতানির পরিমান ছিল ৭৬ ট্রাক জানান এই কর্মকর্তা।