এনবি নিউজ : ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাত। জানালেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ‘অদৃশ্য শক্তির’ সঙ্গে। কৌশলের কারণে সেই শক্তি সশরীরে ভোটে নেই, তবে আসলে তারা ‘লড়াইয়ে আছে’।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠানের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনটিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আলোচিত অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমও।
জাতীয় পার্টির দুই পক্ষের দুই প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে আগারগাঁওয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আগ্রহীরা মনোনয়ন জমা দেন।
এই আসনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মোট ২০ জন। জমা পড়া মনোনয়ন বাছাই হবে আগামী রোববার। বৈধ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ আছে ২৫ জুন পর্যন্ত। তার পর দিন হবে প্রতীক বরাদ্দ।
আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে আসনটিতে।
প্রতিপক্ষহীন লড়াই না: আরাফাত
দুপুরে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে সশরীরে ‘হার্ডকপি’ জমা দেন নৌকা মার্কা পেতে যাওয়া আরাফাত।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অল্প সময়ের জন্য হলেও উপনির্বাচনটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন তিনি।
এই প্রার্থী মনে করেন, নৌকা মার্কাকে হারাতে ‘একটি পক্ষ’ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তিনিও তাদের সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে চান।
আরাফাত বলেন, “সর্বোচ্চ ভোটার টার্ন আউটের চেষ্টা করব।… প্রতিপক্ষহীন আসলে না। আমাদের প্রতিপক্ষ যারা তারা কিন্তু আসলে আছে। তারা হয়ত কৌশলগত কারণে নেই। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তারা ছিল, আছে।
“তারা দৃশ্যত থাকুক বা পেছনে থাকুক, আমরা তাদের পরাজিত করব, যেভাবে থাকুক।”
বর্তমান সরকারের আমলে ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া বিএনপি সংসদীয় আসনের এই নির্বাচন থেকেও নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে।
আরাফাত মনে করেন, যারা ভোটে নেই তারাও তাকে হারানোর চেষ্টা করবে। এর অংশ হিসেবে কোনো না কোনো প্রার্থীর পাশে থাকবে তারা।
সেই প্রার্থী কে হতে পারেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আরো অনেকেই প্রার্থী আছে। তবে কার ঘাড়ে তারা চাপবে এটা আমরা বলতে পারছি না। তবে তারা সক্রিয়ভাবে আছে। তারা অদৃশ্যভাবে থাকবে। নৌকার বিপক্ষে তারা সব সময় সক্রিয়।… আমাদের নৌকাকে আমরা হারতে দেব না। আমাদের নেত্রীকে আমরা হারতে দেব না।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, “ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
হিরো আলমের ‘প্রতিবাদ’
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে হিরো আলম বলেন, “আমার সাথে বিএনপি বা অন্য কোনো দল যুক্ত নেই। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী।”
বগুড়ায় উপনির্বাচনে তাকে ‘নয়-ছয় করে’ হারানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এ জন্যে এখানে দাঁড়িয়েছি প্রতিবাদ হিসেবে। এখানেও হারায় কি না দেখছি, প্রতিবাদের মশাল হিসেবে।”
আসনটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলেও আশা করছেন হিরো আলম।
জাপার লাঙ্গল কার হবে
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থি মামুনুর রশিদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বুধবার। পরের দিন চেয়ারম্যান জিএম কাদেরপন্থি সিকদার আনিছুর রহমানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পরে আনিছুর রহমান বলেন, “দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে দলীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। জাপা চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে জমা দিয়েছিন, আরেকজন যথাযথ প্রক্রিয়ায় দলীয় মনোনয়ন পাননি।”
দলীয় প্রার্থী হতে হলে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্রত্যয়নপত্র দিতে হয়।
রিটার্নিং অফিসার মুনীর হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, “মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে। রোববার আইন বিধি পর্যালোচনা করে যাচাই-বাচাইয়ের দিন জানানো যাবে।”