এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘নয় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।’ বাকিদের ব্যাপারে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন—বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার গোলাম কিবরিয়া সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়ার মিলন (২৫), নামাপাড়ার তোফাজ্জল (৪০), আইনাল হক (৫৫), কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবেরচর এলাকার ফজলু মিয়া (৩৫) ও তার ভাই শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া এলাকার মকবুল (৩৫) এবং সর্দারপাড়া মেরুরচরের ওহিদুজ্জামান (৩০)।
নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাঠাটি এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্যও ছিলেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সমর্থকরা নাদিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
এর আগে, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।