এনবি নিউজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করে, আমরা খুব খুশি হব।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় এক সাংবাদিক জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র বলছে দুর্নীতি দমনে দেশটি নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে দুর্নীতি করে যেসব বাংলাদেশিরা অর্থ জমিয়েছে, তা জব্দের কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে মোমেন বলেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করে, আমরা খুব খুশি হব। কারণ তাদের দেশে একটি আইন আছে, বেশি টাকা নিয়ে গেলে কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়, তাদের নাগরিক হওয়া যায়।
বাংলাদেশে কূটনীতিকদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আমাদের দেশে অনেক দিন থেকে এটা হয়ে আসছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এ সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে, এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার। এ সংস্কৃতি বন্ধে আমরা একটা সেমিনার করব।
মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।
আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান ও শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান ও রাহুল রাহা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আব্দুর রশীদ।
এ টি