এনবি নিউজ : সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং সম্মানের সঙ্গে সবাইকে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশের অবস্থা এমন করা হয়েছে, না ছিল ভোটের অধিকার, না ছিল ভাতের অধিকার। আমরা সে অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। মনে রাখতে হবে, জাতির পিতা যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেটা যাতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়।
তিনি বলেন, শোকের মাসেই আমরা এই পেনশন স্কিম উদ্বোধন করছি। কারণ আমার পিতা হয়তো দেখবেন। তিনি খুশি হবেন। তার প্রিয় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা সর্বজনীন পেনশন চালু করছি। এতে তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা থাকবে। কারও কাছে হাত পাততে হবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে মিলিটারি ডিক্টেটরদের হাতে গড়া দলের ধ্বংসযজ্ঞ। এসব মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে নিচ্ছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব খাতে সেবা দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা-ভাই সবই তো হারিয়েছি। আমার তো কেউ নাই। ১৯৮১ সালে দেশে এসে কাউকে তো দেখিনি, যারা আমায় বিদায় দিয়েছে। কিন্তু আমি পেয়েছি, এই দেশের মানুষকে আমার পাশে। আমি মনে করি, এই দেশের মানুষই আমার আপনজন। এ দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনকে অর্থবহ করে তাদের জীবনমান উন্নত করতে চাই। আমার বাবারও এটিই লক্ষ্য ছিল।
সর্বজনীন পেনশনের ফলে বৈষম্য দূর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে অনেকে পরিবারের কাছেই বোঝা হয়ে যান। পরিবারের কাছে যেন মূল্য থাকে, কেউ যেন বোঝা হয়ে না যান, এই কর্মসূচি তাতে ভূমিকা রাখবে। বৃদ্ধ বয়সে হাত পাততে হবে না।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এ টি