এনবি নিউজ : সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে (কলেজ-মাদ্রাসা) ভর্তির জন্য আবেদন করেও প্রথম ধাপেই সুযোগ পায়নি ৪৫ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী। চলতি বছর একাদশে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন করেছিল ১৩ লাখ ৬ হাজার ৯৫৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ জন শিক্ষার্থী।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ শতাংশ ছাত্রী এবং ৪৬ শতাংশ ছাত্র। তবে সুযোগ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় আবেদনের সুযোগ পাবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর (রোববার) পর্যন্ত নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ পাবে। যথাসময়ে কোনো শিক্ষার্থী নিশ্চয়ন না করলে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। আর যেসব শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কলেজে ভর্তির আবেদন করেনি বা আবেদন করেও কলেজ পায়নি তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদন করতে পারবে।
একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। প্রথম মাইগ্রেশন ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ পাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা। আর ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে। আর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি চলবে। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
জানা যায়, গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। এরপর অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় গত ১০ আগস্ট থেকে। আবেদন নেওয়া হয় ২০ আগস্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার রাতে প্রথম দফায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী অনলাইনে পছন্দক্রম দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারে। বেশ কয়েক বছর ধরেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হচ্ছে অনলাইনে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে এ ভর্তির কাজটি হয়।
একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে (http://xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে ফল দেখা যাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের বছর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইনপুট দিয়ে ফল দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি ভেরিফিকেশন কোডও অ্যান্ট্রি দিতে হবে। যা নির্ধারিত ওয়েবপেজেই প্রদর্শিত আছে।
এ টি