এনবি নিউজ : ‘বাজেট স্বল্পতার’ কথা তুলে বড় পরিসরে নির্বাচন পর্যবেক্ষক না পাঠালেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে সাত সদস্যের একটি দল পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা নিজস্ব খরচেই আসবেন। তবে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার করবে।
গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “তারা আগে চিন্তা করেছিল বড় দল পাঠাবে। কিন্তু তাদেরও বাজেটে সমস্যা। সব দেশে এখন বাজেট সমস্যা। তারা এজন্য সাতজনের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
“সাতজনের জন্য আমাদের কোনো পয়সা টয়সা লাগবে না। তবে এখানে আসলে পরে বাকি যেগুলো সাহায্য-সহযোগিতা দরকার, সেটা আমরা দেব। সাতজন হলে উই ক্যান ম্যানেজ।”
মোমেন বলেন, “এখানে এসে বিভিন্ন জেলায় যাবে, ওখানে থাকা, এগুলো আমরা দেব। এসব ব্যাপারে আতিথেয়তা আমরা খুব ভালো পারি। কিন্তু সেই রকম বিরাট দল আসার সম্ভাবনা নাই।”
বাংলাদেশে নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচনের সময়ে পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফর করে ইউরোপীয় ইউনিয়ের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
ওই দলের প্রতিবেদেনের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা ছিল ইইউ’র উচ্চ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেলের।
পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, জোসেফ বোরেলের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো হচ্ছে না। সরকার চাইলে তারা ছোট পরিসরে একটি কারিগরি দল পাঠাতে পারে।
পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠানোর কারণ হিসাবে ‘বাজেট স্বল্পতার’ বিষয় ইইউ জানিয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
এর মধ্যে ১৫ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে দুয়েক দিন আগে একটি চিঠি দিয়েছে ইইউ। বাংলাদেশ সরকার খরচ দিলে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
দুদিন পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অর্থ ব্যয় করে বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক দল আনার মত ‘পর্যায়ে নেই’ বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আসছে নভেম্বরে। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন তারা।
তবে, এই দলের সদস্য সংখ্যা সাতজন বলে রোববার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। মন্ত্রীর আগের বক্তব্যের সূত্র ধরে খরচের প্রসঙ্গও আসে।
খরচের প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা অর্থ দিয়ে আনব না। উনারা খরচ চেয়েছে, আমরা খরচ দিয়ে আনব না। অবজার্ভার বিদেশ থেকে আনার জন্য আমরা টাকা পয়সা দিয়ে আনব না।
ভিন্ন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “তারা এখন আমাদেরকে জানিয়েছে, তারা সাতজন পাঠাবে, আমরা সাতজনকে গ্রহণ করব। আপনি খামোখা আবার পেঁচাচ্ছেন কেন? সাতজন তারা এখন পাঠাবে, আমরা তাদের গ্রহণ করব। তারপর আমরা স্থানীয় আতিথেয়তা সেটা আমরা করব।”