আজকের কথা ডেস্ক(বেনাপোল)যশোর: : যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ইছামতি নদীতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। এসময় তার শরীরে বেঁধে রাখা ৫ কোটি টাকা মুল্যের ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্নবার উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার দুপুরে শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল। বিজিবি-বিএসএফ নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়েও তার খোঁজপায়নি। অবশেষে তার মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর খবরে বিজিবি উদ্ধার করে। এদিকে স্বর্ন পাচারের সাথে জড়িত মুল হোতারা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে নিয়োজিত নানান নিরাপত্তা সংস্থার নজর এড়িয়ে সাম্প্রতি যশোর সীমান্ত পথে ভারতে বেড়েছে স্বর্নপাচার। গত রোববার বাড়িতে ছিলেন গোগার হরিসচন্দ্রপুর গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে মশিয়ার। এদিন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি হাবিব,জামাল ও রহিমবক্স। কিছুক্ষন পর সোনা পাচারের সময় তাকে ইছামতিতে ডুবতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ,বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ খবর পেয়ে যৌথ ভাবে ডুবুরী দিয়ে দুই দিন ধরে নদীতে তল্লাশী চালিয়েও তার মরদেহ পায়নি। অবশেষে ৪ দিন পর ঘটনা স্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠলে বিজিবি তার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার শরীরে বাঁধা অবস্থায় ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্নবার পাওয়া যায়। এদিকে স্বর্ন পাচারের সাথে জড়িত মুল হোতা হাবিব,জামাল ও রহিমবক্স গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
শার্শার গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবিবর রহমান জানান, স্বর্নপাচার করতে যেয়ে প্রান গেছে মশিয়ারের। তবে যারা তাকে এ পথে নামিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিজিবি সদস্যরা নদী থেকে মশিয়ারের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নের খুরশিদ আলম জানান, মশিয়ার রহমানের মৃত্যুের ঘটনায় হাবিব নামে একজন স্বর্নপাচারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতের শরীর থেকে পাওয়া গেছে ৫ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ন বার।