আজকের কথা ডেস্ক(বেনাপোল) : রমজানে চাহিদা বাড়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবারো ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। গত দুই দিনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুটি চালানে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৪ মার্চ) সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৮ ট্রাকে দুই ২০০ মেট্রিক টন আলু বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে গত ১৩ মার্চ আরো ৮ ট্রাকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি রবিবার (১৭ মার্চ) খালাস হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান জানান, আমদানিকৃত ৪০০ মেট্রিক টন আলু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানি কারক খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে গতবছর ০২ ডিসেম্বরে তিন ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। এরপর এটা দ্বিতীয় ও তৃতীয় চালানে আলু আমদানি হয়।
বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বন্দরে ভারত থেকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দেশের বাজারে বর্তমানে আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। যা সহনিয় পর্যায়ে। বর্তমানে আলুর চেয়ে পেঁয়াজ,চিনি, গম ও চালের দাম উধ্বগতি। এগুলো আমদানির প্রয়োজন। কিন্তু ভারত অংশে কঠিন শর্ত আর নিষেধাজ্ঞায় এসব পণ্য আমদানি করা অনেক দিন ধরে সম্ভব হচ্ছেনা। এবিষয়ে সরকারের আবারো,হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।।