আজকের কথা ডেস্ক(বেনাপোল) :যশোরের বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের জন্য এ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নুরুজ্জামান লিটন।
সোববার(২৮ অক্টোবর) বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান শান্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিকদার সরকার সাক্ষরিত পত্রে নুরুজ্জামান লিটনকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের এ্যাডহক কমিটি গঠন করে।
নুরুজ্জামান লিটন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি এবং পেশায় একজন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী। তিনি বেনাপোল পৌরসভার গাজিপুর গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে।
এ্যাডহক কমিটি পত্রে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর থেকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ্যাডহক কমিটিকে নিয়মিত গভর্নর বডি গঠনের কাজ সম্পূর্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, আ,লীগ সরকার ক্ষমতা চ্যুতির পর গত ২০ আগস্ট দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় অন্তবর্তীকালিন সরকার। পরে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের।
এর আগে বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট আ,লীগ নেতা ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ইমদাদুল হক লতা।
এদিকে নুরুজ্জামান লিটনকে বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনিত করায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এছাড়া নুরুজ্জামান লিটনকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনিত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী,সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,সাংস্কৃতিক,ব্যবসায়ী সংগঠন এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।
নুরুজ্জামান লিটন জানান, শিক্ষাঅঙ্গনে সুস্থ্য ধারার রাজনীতি চর্চা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও কলেজ উন্নয়নে কাজ করতে ভুমিকা রাখবে এই পরিচালনা পরিষদ কমিটি। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা কামনা করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৩ হাজার ৬৫০টি। এগুলোর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮ হাজার ৩৪০টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১ হাজার ৪১৭টি, কলেজ ২ হাজার ৪০৭টি, মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৫৬টি এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২৩০টি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে।