স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত আসায় হঠাৎ করে দরজির দোকানে স্কুলের নতুন পোশাক তৈরির চাপ পড়েছে। দরজিরা বলছেন, তাঁরা দিন-রাত কাজ করেও কমপক্ষে এক সপ্তাহের আগে স্কুলের পোশাক তৈরি করে দিতে পারছেন না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্যার জন উইলসন স্কুলও শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে আসার বিষয়টি শিথিল করেছে। স্কুলটির অধ্যক্ষ সাব্রিনা শহীদ এনবি নিউজকে বলেন, স্কুলে আসতে হলে শিক্ষার্থীদের নতুন ইউনিফর্ম বানাতে হবে, বিষয়টি তাঁরা বুঝতে পেরেছেন। এ জন্য স্কুল খোলার পর প্রথম দিকে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য অভিভাবকদের স্কুলের নির্দিষ্ট টি-শার্ট সংগ্রহ করতে বলা হবে। তিনি বলেন, অন্তত একই রকম টি-শার্ট পরলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের একতার বোধ তৈরি হবে।
আনুষ্ঠানিক নোটিশ না দিলেও রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ইউনিফর্মের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে বলে এনবি নিউজকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক। তিনি এনবি নিউজকে বলেন, ‘ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা সবাই দল বেঁধে ইউনিফর্ম ছাড়া সাধারণ পোশাক পরে আসতে পারে। তবে যারা ইউনিফর্ম পরে আসবে না, তারা যৌক্তিক কারণ দেখালে কিছু বলা হবে না।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট পোশাক পরে আসার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কমেছে। তবে যেসব স্কুল এ বিষয়ে ছাড় দেয়নি, তাদের নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন কোনো কোনো অভিভাবক। রাজধানীর মিরপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক এনবি নিউজকে বলেন, দরজি বলেছেন, ২০ সেপ্টেম্বরে আগে নতুন পোশাক দিতে পারবে না। তাঁর মেয়ে স্কুলে ইউনিফর্ম ছাড়া যেতে রাজি নয়।