একইসঙ্গে সেদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও সেখান থেকে বের হয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইউক্রেইনে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া- এমন খবর তাদের কাছে আছে।
তবে ইউক্রেইনে কোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনার খবর ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্ভাব্য হয়রানির মুখে পড়ার’ আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেইন ভ্রমণ না করতেও জনগণকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, “খবর পাওয়া যাচ্ছে যে রাশিয়া ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।”
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেইনে মার্কিন দূতাবাস খোলা রাখা হবে, তবে ওয়াশিংটন থেকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে, ‘যে কোনো সময়’ একটি আগ্রাসন শুরু হতে পারে। তারা বলছেন, ওই ধরনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বের করে আনার মতো অবস্থা সরকারের থাকবে না।
সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান সতর্ক করেছেন, ইউক্রেইন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় এক লাখ সৈন্য সমাবেশ করায় ইউরোপে নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্মুখ সারির সেনাদের রসদ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯০ টনের মত গোলাবারুদ শনিবার ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৌশল মোকাবেলায়’ আরও বেশি সামরিক সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা মজবুত করাসহ ধারাবাহিক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে তার সরকার।
এর আগেও ইউক্রেনের ভূমি দখল করেছে রাশিয়া। সে দেশে মস্কোপন্থি প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করার জেরে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অঞ্চলটি রাশিয়া দখল করে নেয়। এরপর থেকে সেদেশের পূর্বাঞ্চলে রুশ-সমর্থক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে ইউক্রেইনের বাহিনীর লড়াইয়ে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার অভিযোগ তোলে, ইউক্রেইন সরকারে একজন মস্কোপন্থি ব্যক্তিকে বসানোর পরিকল্পনা করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ব্রিটিশ মন্ত্রীরা হুঁশিয়ার করেছেন, ইউক্রেইনে হামলা হলে রাশিয়াকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।