এনবি নিউজ : শনিবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত সমাবেশে ‘এখনই যুদ্ধবিরতি’, ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরাইলের তহবিল বন্ধ করো’ লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
ইসরাইলের প্রতি ক্রমাগত মার্কিন সমর্থনের কারণে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ‘বাইডেন, বাইডেন, আপনি লুকিয়ে রাখতে পারবেন না, আমরা আপনাকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করি’ বলে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে ইসরাইলে মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি জানান। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের বহু ইহুদি রাব্বি অংশ নেন। তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি জানান।
এদিকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনেও ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি পদযাত্রায় সবমিলিয়ে অন্তত ১ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের কাছে সমাবেশে এ পদযাত্রা শেষ হয়।
এছাড়া শনিবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম, বেলফাস্ট, কার্ডিফ এবং সালফোর্ডেও ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, লন্ডনের সমাবেশে নিরাপত্তার জন্য এক হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে রকেট ও স্থলপথে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী হামাস। এ হামলায় সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪০০ ইসরাইলি নিহত ও অন্তত ২০০ জিম্মি হয়েছেন। হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান ও বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এছাড়া গাজায় পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। গাজায় হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য স্থাপনা বা ঘাঁটি ধ্বংস করতে বড় ধরনের স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার ৪০ শতাংশই শিশু।
গাজায় আক্রমণের জন্য ইসরাইল সীমান্তে ৩ লাখের বেশি সেনা জড়ো হয়েছে। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইসরাইলি সেনারা যে কোনো সময় গাজায় বড় আকারের স্থল অভিযান চালাতে পারে। সবমিলিয়ে বর্তমানে গাজায় চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।