আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসছেনা সুতা।
আবিদ হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: স্থলপথে সুতা আমদানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের নিষেধাজ্ঞার পর কোন সুতার চালান ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আসছেনা ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেখানে বলা হয় ভারত, নেপাল, ভুটান-এই তিন দেশ থেকে সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে স্থল পথে এসব পণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও সমুদ্রপথ ও আকাশ পথে সুতা আমদানি চালু রয়েছে।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, দেশীয় সুতার ব্যবহার বাড়াতে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানায় বস্ত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। এর পর গত মার্চ মাসে এক চিঠিতে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার জন্য এনবিআরকে ব্যবস্থা নিতে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এর পেক্ষেতি এনবিআর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বন্ধ করে সুতা আমদানি। এ নির্দেশনা সাথে সাথে বাস্তবায়ন হওয়ায় ভারত থেকে কোন সুতা বহনকারি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসছেনা।
এ দিকে দেশীয় সুতা চেয়ে ভারতীয় সুতা তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশে আসার কারণে দেশি সুতার পরিবর্তে ভারতীয় সুতা বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে পোশাক শিল্পে। এতে করে বস্ত্রশিল্পকারখানাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে গড়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাকের শতাধিক ট্রাকের মত আসে গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত সুতা।
সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পর যে সব ট্রাক ওপার পেট্রাপোল বন্দরে আসছে তারা ঢুকতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, প্রতিদিন ভারত থেকে সুতা আমদানি হতো। তবে সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কারনে বুধবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নতুন করে কোন সুতাবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢোকেনি।